জাতীয় স্বাস্থ্য-লাইফস্টাইল

আজ থেকে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারা দেশে করোনা ভাইরাসের টিকার চতুর্থ ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে আজ থেকে। এ দফায় ষাটোর্ধ্ব, সম্মুখসারির যোদ্ধা ও কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন, গর্ভবতী নারী এবং দুগ্ধদানকারী মায়েদের টিকা দেওয়া হবে। চতুর্থ ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা ব্যবহার করা হবে।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর।

আহমেদুল কবীর বলেন, টিকার অ্যান্টিবডি বেশি দিন থাকে না। এ জন্যই সরকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। চার কোটি মানুষ চতুর্থ ডোজ টিকা নেওয়ার উপযোগী। আপাতত আমরা পাঁচটি ক্যাটাগরিতে এ টিকা দিচ্ছি। এ ক্ষেত্রে আমাদের মানুষ আছে ৮০ লাখ।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে টিকা কেন্দ্রগুলোকে এমন নির্দেশনা দিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘করোনা মহামারির বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার দেশের জনগণকে দ্বিতীয় বুস্টার বা চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় নিম্নোক্ত নির্দেশনা মেনে ২০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।

নির্দেশনাগুলো হলো

১. চতুর্থ ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে (এমআরএনএ)।

২. তৃতীয় ডোজ প্রাপ্তির পর চার মাস অতিবাহিত হয়েছে এমন ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ দেওয়া যাবে।

ক. ৬০ বছর এবং এর বেশি বয়সি ব্যক্তি টিকা পাবেন।

খ. দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং এর বেশি বয়সি জনগোষ্ঠী টিকা পাবেন।

গ. স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হবে।

ঘ. গর্ভবতী মহিলা ও দুগ্ধদানকারী মাকে টিকা দেওয়া হবে।

ঙ. সম্মুখসারির যোদ্ধা (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী; অনুমোদিত বেসরকারি ও প্রাইভেট স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা-কর্মচারী; প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত সব সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্মকর্তা-কর্মচারী; বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা; সম্মুখ সারির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী; সামরিক বাহিনী-বেসামরিক বিমান; রাষ্ট্র পরিচালনার নিমিত্ত অপরিহার্য কার্যালয়; সম্মুখসারির গণমাধ্যমকর্মী; নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি: সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার সম্মুখসারির কর্মকর্তা-কর্মচারী; সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিনিধি: মৃতদেহ সৎকার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি; জরুরি বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, পয়নিষ্কাশন ও ফায়ার সার্ভিসের সম্মুখ সারির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী; রেল স্টেশন, বিমানবন্দর, স্থল বন্দরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী; জেলা ও উপজেলায় জরুরি জনসেবায় সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী; ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, জাতীয় দলের খেলোয়াড় ও চিকিৎসা শিক্ষা সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে ছাত্র- ছাত্রী)।’

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ‘দেশব্যাপী সিটি করপোরেশন/ জেলা/ উপজেলা/ পৌরসভা পর্যায়ে অবস্থিত সব স্থায়ী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে (সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতাল, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ৫০০/২৫০/১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইত্যাদি) চলমান বুথে চতুর্থ ডোজ টিকা প্রদান করতে হবে। প্রচারণার নিমিত্ত কেন্দ্রসমূহে চতুর্থ ডোজ প্রদানের বুথের বাইরে দৃশ্যমান স্থানে সংযুক্ত ফরম্যাট অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ব্যানার তৈরি ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।

আরও পড়ুন:

খাদ্য উৎপাদনে আবাদি জমি সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

শীতে বাতের ব্যথা কমাতে করণীয়

ঠোঁট বলে দেবে আপনি কেমন মানুষ, জেনে নিন কীভাবে

আপনারও কি বুকে ব্যাথা হয়? অবহেলা না করে জেনে নিন উপায়

আরো খবর »

জীবন থাকতে বাংলাদেশের এতটুকু স্বার্থ নষ্ট হতে দিব না : প্রধানমন্ত্রী

উজ্জ্বল হোসাইন

বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার: পরিবেশমন্ত্রী

উজ্জ্বল হোসাইন

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

উজ্জ্বল হোসাইন