খেলাধূলা ভিডিও গ্যালারী

ভারতের ‘ফেক ফিল্ডিং’, ৫ রানের পেনাল্টি না পাওয়ায় আক্ষেপ বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের দেওয়া ১৮৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন টাইগারদের দুই ওপেনার। লিটনের ব্যাটিংয়ে ভর করে জয়ের আভাস দিচ্ছিলেন তারা। তবে বাকিদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় শেষ হাসি ভারতের।

শেষ পর্যন্ত ভারতের কাছে ৫ রানে হারে টাইগাররা। তবে ম্যাচ শেষে আক্ষেপে দুখছেন টাইগার শিবির। টাইগারদের আপসোস তাদের প্রাপ্য পাঁচ রান তারা পায়নি। টাইগাররা ‘ফেক ফিল্ডিংয়ের’ অভিযোগ তুললেও ভারতীয় দলকে কোনো ধরনের পেনাল্টি দেওয়া হয়নি।

শুরুতেই দুর্দান্ত খেলা টাইগার ব্যাটার লিটন দাস বৃষ্টি পরই ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের কিপার-ব্যাটার কে এল রাহুলের এক দুর্দান্ত ডিরেক্ট হিটে সাজঘরে ফেরেন। এরপর টাইগারদের মিডল-অর্ডারে ধস নামে। শেষ দিকে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান ও বোলার তাসকিন আহমেদ ভালো খেলার চেষ্টা করলে বাকিরা সবাই দায়িত্বহীনতা ও ব্যর্থতার পরিচয় দেন। ম্যাচের শেষ বোলে জয় পায় ভারতীয় শিবির।

বৃষ্টির পরের মাঠের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাকিব জানান, ভেজা মাঠ নিয়ে কোনো আপত্তি নেই।

তবে ১৪ বলে অপরাজিত ২৫ রান করা সহঅধিনায়ক সোহান ম্যাচ শেষে ‘মিক্সড জোনে’ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। এ সময় ফেক ফিল্ডিংয়ের পেনাল্টি থেকে নিজেদের বঞ্চিত ভাবার কথা জানান তিনি।

সোহান দাবি তোলেন, মাঠ যে ভেজা, আপনারাও দেখছেন বাইরে থেকে, আমরাও দেখছি। এমনকি আমার কাছে মনে হয়েছে, যে যখন আমরা কথা বলি… একটা ফেক থ্রোও ছিল। যেটায় ৫ রান পেনাল্টি হয়তো হতে পারত। যেটা আমাদের দিকে আসতে পারত। দুর্ভাগ্যবশত সেটাও আসেনি।

তবে ঠিক কোন বলে বা সময়ে এ ঘটনা হয়েছে, তা পরিষ্কার করেননি। তবে একাধিক সূত্র বলছে, বাংলাদেশের ইনিংসের আকসার প্যাটেলের করা সপ্তম ওভারে দ্বিতীয় ডেলিভারি কিংবা পঞ্চম ডেলিভারিতে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় আম্পায়ারের কাছে তাৎক্ষণিক অভিযোগ করেন উইকেটে থাকা ব্যাটসম্যান শান্ত। তবে আম্পায়ার জানান, এ রকম কিছু তাদের চোখে পড়েনি।

এরপরই খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টির বিরতিতে বাংলাদেশ দল এটার দাবি জানান। আম্পায়াররা তখনও বলেন, তারা এ রকম কিছু দেখেননি। অথচ সেসময় লেগ আম্পায়ার এরাসমাসের একদম সামনে দাঁড়িয়ে।

২০১৭ সালের আইসিসির ফেক ফিল্ডিংয়ে পেনাল্টির নিয়ম চালু করে। আইন অনুযায়ী, কোনো ফিল্ডার তার কথা বা কাজ দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাটসম্যানের মনোযোগ ভিন্নমুখী করলে বা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা কিংবা বাধার সৃষ্টি করলে, তা অন্যায্য হবে।

সেক্ষেত্রে শাস্তি হিসেবে ব্যাটিং দলের সঙ্গে ৫ রান যোগ হয় এবং বলটিকে ঘোষণা করা হয় ‘ডেড।’

নিয়ম অনুযায়ী, ফিল্ডার ইচ্ছাকৃতভাবে এরকম কিছু করেছেন কি না, সেটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভার আম্পায়ারদের বা মাঠের কোনো একজন আম্পায়ারের।

তাহলে মাঠের আম্পায়ার কেনই বা টিভি আম্পায়ারের দ্বারস্থ হননি? নাকি কোহলি এবং ভারতের জন্য সব বৈধ? অন্যদিকে বলেও আম্পায়ারের মন গলাতে না পেরে ঠিকই ৫ রানের আক্ষেপে ভাসতে হয় শান্ত এবং বাংলাদেশের।

আরো খবর »

এবার ‘ঝুমে জো পাঠান’ নিয়ে বিতর্ক (ভিডিও)

উজ্জ্বল হোসাইন

আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড দামে প্রীতির দলে স্যাম কারেন

উজ্জ্বল হোসাইন

রিচার্লিসনের বাইসাইকেল গোলটিই বিশ্বকাপের সেরা

উজ্জ্বল হোসাইন